Friday, October 27, 2017

উইন্ডোজ ফোন ৭



২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, স্পেনের বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে উইন্ডোজ ফোন ৭-এর ঘোষণা করা হয় এবং ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে এটি মুক্তি পায়। ২০১১ সালের মে মাসে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ফোন ৭-এর হালনাগাদ সংস্করণ “ম্যাংগো” মুক্তি দেয়। এই সংস্করণের সাথে জুড়ে দেওয়া হয় ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৯-এর মোবাইল সংস্করণ। এই সংস্করণ ডেক্সটপ সংস্করণের মতই ওয়েব এবং গ্রাফিক্স সমর্থন করে। এছাড়া এতে রয়েছে তৃতীয়-পক্ষ অ্যাপ্লিকেশনের মাল্টি-টাস্কিং, পিপল হাবের জন্য টুইটার একত্রীকরণ, এবং উইন্ডোজ লাইভ স্কাইড্রাইভ সংযোগ।
২০১২ সালে একটি ছোটখাট সংস্করণ মুক্তি পায় যা “ট্যাঙ্গো” নামে পরিচিত। এতে পূর্বেকার সংস্করণের ত্রুটিগুলোকে সারানো হয় এবং হার্ডওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা খর্ব করা হয়। ফলে একটি যন্ত্রে উইন্ডোজ ফোন চালানোর জন্য ৮০০ মেগাহার্জের সিপিইউ এবং ২৫৬ মেগাবাইট র‍্যামই যথেষ্ট।
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে উইন্ডোজ ফোন ৭.৮ মুক্তি পায়। এতে উইন্ডোজ ফোন ৮-এর কিছু বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়। যেমনঃ স্টার্ট স্ক্রিন হালনাগাদ করা হয়, বর্ণবিন্যাসের বিকল্প দ্বিগুন করা হয় এবং বিং ইমেজ অফ দ্য ডে চিত্রটিকে লক স্ক্রিনের ওয়ালপেপার হিসেবে রাখার সুবিধা প্রদান করা হয়। উইন্ডোজ ফোন ৭.৮-এর উদ্দেশ্য ছিল উইন্ডোজ ফোন ৭-এর পুরানো ফোনগুলোকে বেশিদিন টিকিয়ে রাখা। কেননা, হার্ডওয়্যার সীমাবদ্ধতার কারণে এগুলোকে উইন্ডোজ ফোন ৮-এ হালনাগাদ করা সম্ভব নয়। অবশ্য, এখনও অনেক ব্যবহারকারীর কাছে উইন্ডোজ ফোন ৭.৮-এর হালনাগাদ পৌছায়নি।
মাইক্রোসফট ঘোষণা করেছে যে উইন্ডোজ ফোন ৭.৮ পরবর্তীতেও হালনাগাদ করা হবে, যেহেতু উইন্ডোজ ফোন ৭ এবং উইন্ডোজ ফোন ৮ কিছু সময় একই সাথে বিদ্যমান থাকবে। এতে উইন্ডোজ ফোন সমর্থিত বিভিন্ন মূল্যের মোবাইল ফোন বাজারে পাওয়া যাবে।

SHARE THIS

Author:

0 comments: